Tag: IBG NEWS BANGLA
মিলন উৎসবের সূচনা হল – থিম আমাদের সংবিধান আমাদের শক্তি
মিলন উৎসবের সূচনা হল থিম আমাদের সংবিধান আমাদের শক্তি
ফারুক আহমেদ
পার্ক সার্কাস ময়দানে শনিবার শুভ উদ্বোধন করলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। এবছর মিলন উৎসবের থিম আমাদের সংবিধান আমাদের শক্তি।
ভারতের সমস্ত রাজ্যের...
সন্দীপ কুমার মন্ডলের মাথায় আশীর্বাদ রয়েছে হাজার হাজার মানুষের
সন্দীপ কুমার মন্ডলের মাথায় আশীর্বাদ রয়েছে হাজার হাজার মানুষের
মালদা,বিশেষ প্রতিবেদনঃ মা-মাটি-মানুষের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও বাংলার যুবশক্তির অন্যতম মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে আদর্শিত হয়ে শুক্রবার মালদা জেলা জয় হিন্দ বাহিনীর কার্যকরী সভাপতি সন্দীপ...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনে ময়ূরাক্ষী মৈত্র
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অসাধারণ নৃত্য পরিবেশনে ময়ূরাক্ষী মৈত্র
সংবাদদাতা, ২৪ জানুয়ারি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের কলকাতা পর্যায়ের আয়োজন অনুষ্ঠিত হল নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদের পরিচালনায় ঐতিহ্যমন্ডিত...
পার্ক সার্কাস ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসব ১ থেকে...
পার্ক সার্কাস ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত মিলন উৎসব ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি
ফারুক আহমেদ
আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংবিধানই আমাদের শক্তি এই ভাবনাকেই সামনে রেখে বাংলার সেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়...
Curtain Raiser: India-Bangladesh JT Exercise SAMPRITI-IX
Curtain Raiser: India-Bangladesh JT Exercise SAMPRITI-IX
By PIB Delhi
As part of the ongoing Indo-Bangladesh defence cooperation, a joint military training exercise SAMPRITI-IX is being conducted at UMROI, Meghalaya, India from 03 Feb to 16 Feb...
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার বাংলা বিষয়ে প্রথম হয়েছেন অনিকেত...
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন আয়োজিত অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়ার বাংলা বিষয়ে প্রথম হয়েছেন অনিকেত মহাপাত্র
মৌসুমী বিশ্বাস
বঙ্গীয় বিদ্যায়তন জয় করলেন অনিকেত তাঁর নামের মানে যার কোনো ঘর নেই। যখন তাঁকে কেউ নামের মানে জিজ্ঞেস...
সরস্বতী পূজার উদ্বোধনে সংসদ মালা রায়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি
সরস্বতী পূজার উদ্বোধনে সংসদ মালা রায়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি |
বিদ্যার দেবীকে সকল বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ জ্ঞানের দেবী হিসাবে মা সরস্বতীকে পুজো করে আসছে বহুযুগ ধরে। তার থেকে একটু ব্যাতিক্রমী রাস্তায় হেঁটে নিজেদের পুজো...
ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলায়
ভাঙড়ের ভূমিপুত্র ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হল ভাঙড় বইমেলায়
সংবাদদাতা,
নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের জন্মদিন স্মরণ করে ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় বর্ষ ভাঙড় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন কথা সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রচেত গুপ্ত। ভাঙড় বইমেলা জীবনে ভুলবেন না,...
একাত্তরতম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি শ্রীরামনাথ কোবিন্দ-এর ভাষণ
একাত্তরতম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি শ্রীরামনাথ কোবিন্দ-এর ভাষণ
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০
আমার প্রিয় দেশবাসী,
একাত্তরতম সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে দেশে ও বিদেশের প্রবাসী ভারতীয়দের সকলকে আমার আন্তরিক শুভকামনা জানাই।
সাত দশক আগে, ২৬শে জানুয়ারি, আমাদের সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল।
তার আগেও এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছিল। ‘পূর্ণ স্বরাজ’এর সংকল্প গ্রহণ করার পর ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশবাসী প্রতিবছর ২৬শে জানুয়ারিকে ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করেছে। এই কারণে ১৯৫০ সালের এই ঐতিহাসিক দিনে আমরা দেশের জনগণ সংবিধানের আদর্শের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে সাধারণতন্ত্র যাত্রা শুরু করেছি। আর তখন থেকেই প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারি আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করি।
আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ—আইনসভা, কার্যনির্বাহী বিভাগ ও বিচারব্যবস্থা। এরা স্বাধীন হলেও পরস্পর-সংযুক্ত এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তথাপি, বাস্তবে, জনগণকে নিয়েই রাষ্ট্র তৈরি হয়। ‘আমরা জনগণ’-ই এই সাধারণতন্ত্রের সঞ্চালক। আমাদের ওপরই বর্তেছে দেশের সামগ্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের প্রকৃত শক্তি।
আমাদের সংবিধান স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু অধিকার দিয়েছে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানেই আমাদের ওপর এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আমরা যেন গণতন্ত্রের মূল বিষয়গুলোকে সর্বদা মেনে চলি—যেমন, ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ। রাষ্ট্রের নিরন্তর উন্নয়ন ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার এই হল উত্তম পথ। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির জীবন ও মূল্যবোধকে স্মরণে রাখলে সাংবিধানিক আদর্শগুলোকে অনুসরণ করা আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে ওঠে।
আর এভাবেই, আমরা গান্ধিজির সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপনকে একটা অর্থপূর্ণ মাত্রা দিতে পারব।
আমার প্রিয় দেশবাসী,
সরকার জনকল্যাণকামী কিছু অভিযান শুরু করেছে এবং বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, নাগরিকেরা স্বেচ্ছায় সেগুলোকে জন-আন্দোলনের রূপ দিয়েছেন। তাঁদের যোগদানের জন্যই ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ খুব অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা লাভ করতে সমর্থ হয়েছে। অংশগ্রহণের এই প্রবণতা অন্য ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে। তা সে রান্নার গ্যাসের ভরতুকি ত্যাগ করা হোক কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাওনা মেটানো হোক। ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’ একটি গর্ব করার মতো বিষয়। লক্ষ্য পূর্ণ করে আট কোটি মানুষকে এই যোজনার সঙ্গে সামিল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে, প্রয়োজন আছে এমন লোকের কাছে পরিষ্কার জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া যাবে। ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলি হর ঘর যোজনা’ বা ‘সৌভাগ্য যোজনা’র মধ্যে দিয়ে মানুষের জীবনকে আলোকিত করা সম্ভব হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’র সাহায্যে চৌদ্দ কোটির বেশি কৃষক ভাইবোন প্রতি বছর ন্যূনতম ছ’হাজার টাকা আয়ের অধিকারী হচ্ছেন। এর ফলে যারা আমাদের অন্ন যোগান, সেই কৃষক সম্মানের সঙ্গে জীবন কাটানোর সুবিধা পাচ্ছেন।
ক্রমবর্ধমান জলসংকটের সমস্যা মেটানোর জন্য, জলশক্তি মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে এবং জল সংরক্ষণ ও জলসম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মতো ‘জল জীবন মিশন’ও জনআন্দোলনের রূপ পাবে।
সরকারের প্রত্যেকটি নীতির পেছনে, অভাবী মানুষের কল্যাণের পাশাপাশি, ‘সবার আগে আমাদের দেশ’ এই চিন্তাও ক্রিয়াশীল। জি-এস-টি চালু হওয়ার পর ‘এক দেশ, এক কর, এক বাজার’-- এই ধারণা ক্রমশ বাস্তবায়িত হয়ে উঠছে। এর সঙ্গে, ই-নাম যোজনা-র মধ্যে দিয়েও ‘এক রাষ্ট্রের জন্য এক বাজার’ গঠনের প্রক্রিয়া শক্তিলাভ করছে, এবং এর ফলে, কৃষকেরা লাভবান হবেন। দেশের প্রতিটি অংশে সম্পূর্ণ উন্নয়নের জন্য আমরা নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি – তা সে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হোক, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যই হোক, অথবা ভারত মহাসাগরের মধ্যে আমাদের দ্বীপপুঞ্জ।
দেশের উন্নয়নের জন্য সুদৃঢ় অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা-ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। এই কারণে, অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা-ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে, সরকার অনেক বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থার সুবিধাকে সু-শাসনের ভিত্তি বলে মানা হয়। এই দুটো ক্ষেত্রেই গত সাত দশকে আমরা অনেক এগিয়েছি। খুব সঙ্গতভাবেই, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে, সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী
জন-আরোগ্য যোজনা’ তথা ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর মতো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গরিব মানুষের কল্যাণের প্রতি সংবেদনশীলতা প্রকাশ পায় এবং সেই সুবিধা তাদের কাছে পৌছায়। আমরা জানি যে আয়ুষ্মান ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জন-স্বাস্থ্য যোজনা হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান—দুটি ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটেছে। জন-ঔষধি যোজনায়, সাধ্যের মধ্যে থাকা দামে গুণমানসম্পন্ন জেনেরিক ওষুধের যোগান দিয়ে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয়ভার কমানো সম্ভব হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
প্রাচীন কালেও ভালো শিক্ষা-ব্যবস্থার ভিত্তিভূমি হিসেবে নালন্দা ও তক্ষশীলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ভারতে, সবসময়ই, ক্ষমতা, খ্যাতি ও বিত্তের চেয়ে জ্ঞানকে বেশি মূল্য দেওয়া হয়। পরম্পরাগতভাবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জ্ঞানের মন্দির হিসেবে মান্য করা হয়েছে। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনের পর আমাদের পশ্চাদমুখিনতার বিপন্নতা দূর করতে শিক্ষাই সশক্তিকরণের পথ হয়ে উঠেছিল। স্বাধীনতার পরপরই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে সেসময় সম্পদের সীমাবদ্ধতার জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য একই গতিতে না এগোলেও আমাদের উল্লেখযোগ্য কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের এখনকার প্রচেষ্টা হল যাতে দেশের কোনো শিশু বা যুবা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। একই সঙ্গে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার নিরন্তর সংস্কার সাধন করে শিক্ষার বিশ্বমান অর্জন করতে হবে।
ভারত ‘ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগ্যানাইজেশান’ বা ইসরো-র কাজে গর্ববোধ করে। মিশন গগনায়ন-এ ইসরো আরো অগ্রগতি ঘটিয়েছে এবং এ বছর দেশবাসী উৎসাহের সঙ্গে তাকিয়ে আছে ‘ভারতীয় মানব অন্তরিক্ষ যান পরিকল্পনা’র আরো দৃঢ় গতিতে এগিয়ে যাওয়ার দিকে। ।
এ বছর টোকিয়োতে অলিম্পিক-এর আয়োজন করা হচ্ছে। ভারত যদিও অনেক খেলাতেই প্রথাগতভাবে ভালো ফল করে আসছে, কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের খেলায় নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন। দু’হাজার বিশ সালের অলিম্পিকে ভারতীয় দলের প্রতি কোটি কোটি ভারতবাসী শুভকামনা ও সমর্থন জানাবে।
আমাদের দেশের আরো একটি গর্বের উৎস হল বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়রা। বিদেশ ভ্রমণকালে আমি দেখেছি যে বিদেশে থাকাকালে পরিশ্রম করে তাঁরা শুধু নিজেদের সমৃদ্ধ করেননি, বিশ্বের মানুষের সামনে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অনেক প্রবাসী ভারতীয় কর্মের নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
প্রিয় দেশবাসী,
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, অর্ধসৈনিক বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা বাহিনীর প্রশংসা আমি মুক্ত কণ্ঠে করি। দেশের একতা, অখণ্ডতা ও সুরক্ষা বজায় রাখতে তাঁদের আত্মোৎসর্গ, সাহস ও অনুশাসন এক অদ্বিতীয় বীরগাথা রচনা করেছে। আমাদের কৃষক, ডাক্তার ও নার্স, মূল্যবোধ ও বিদ্যা দানকারী শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার, সতর্ক ও সক্রিয় যুবা, কলকারাখানার শ্রমিক বন্ধুরা, আর্থিক সম্পদ বিকাশে নিয়োজিত উদ্যোগী, আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করা শিল্পী, সেবাপ্রদানকারী ক্ষেত্রের পেশাজীবী, দেশের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত দেশবাসী, এবং বিশেষ করে, বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের নতুন উচ্চতায় পৌঁছনো আমাদের সহনশীল কন্যারা—সবাই আমাদের জাতির গৌরব।
এ মাসের প্রথম দিকে, আমার সুযোগ হয়েছিল দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন এমন কিছু কৃতী মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার। বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন, খেলাধূলা, দিব্যাঙ্গ ব্যক্তি, মহিলা ও শিশুদের ক্ষমতায়ন, চাষবাস ও বনসম্পদের বিকাশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যপরিষেবা, প্রাচীন শিল্পকলার পুনরুজ্জীবন এবং অভাবী মানুষকে খাদ্য ও পুষ্টি জোগানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা নিঃশব্দে কাজ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলি, জম্মু-কাশ্মীরে শ্রীমতী আরিফা জান, নমদা হাতের কাজকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন; তেলেঙ্গানায় শ্রীমতী রত্নাবলী কোট্টপল্লি থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের সেবা করে আসছেন; কেরালায় শ্রীমতী দেবকী আম্মা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বনসম্পদের উন্নতি ঘটিয়েছেন; মণিপুরে শ্রী জামখোজাঙ্ মিসাও কমিউনিটি উন্নয়নের কাজের মধ্য দিয়ে অনেক মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছেন; এবং পশ্চিমবঙ্গে শ্রী বাবর আলি ছেলেবেলা থেকেই দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দানের কাজ করে আসছেন। এমন উদাহরণ অনেক, আমি মাত্র কয়েক জনের কথা উল্লেখ করেছি। এঁরা প্রমাণ করেছেন যে সাধারণ মানুষও তাঁদের আদর্শ ও কর্মকুশলতা দিয়ে সমাজে অসাধারণ কাজ করতে পারেন এবং সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হন। এছাড়াও আছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা দেশ-গঠনের কাজে অংশগ্রহণ করে সরকারের অনেক উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছেন।
প্রিয় দেশবাসী,
একুশ শতকের তৃতীয় দশকে আমরা প্রবেশ করেছি। এই দশক হবে নতুন ভারত ও নতুন ভারতীয় প্রজন্মের উত্থানের দশক। এই শতকে জন্ম এমন তরুণরা আরো বেশি করে জাতীয় বিচার-প্রবাহে অংশগ্রহণ করছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমরা ক্রমশ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মানুষদের থেকে দূরে চলে যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে যে বিশ্বাস সক্রিয় ছিল, তা এখনও বিদ্যমান। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আজকের যুবমন অত্যন্ত সচেতন এবং আরো বেশি আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জাতির মৌলিক মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল। আমাদের যুবাদের কাছে, দেশ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। এই যুবাদের মধ্য দিয়েই আমরা নতুন ভারতের আবির্ভাব প্রত্যক্ষ করছি।
রাষ্ট্র-নির্মাণের জন্য, মহাত্মা গান্ধির চিন্তাধারা আজও সম্পূর্ণভাবে প্রাসঙ্গিক। গান্ধিজির সত্য ও অহিংসার বাণীকে চিন্তা ও মননে গ্রহণ করার চেষ্টা আমাদের দৈনন্দিন কাজের অঙ্গ হওয়া উচিত। তাঁর সত্য ও অহিংসার বাণীর প্রয়োজনীয়তা আমাদের আজকের সময়ে আরো বেশি করে অনুভূত হচ্ছে।
কোনো উদ্দেশ্যসাধনের জন্য আন্দোলনের সময়, জনগণের, বিশেষ করে যুবাদের, মনে রাখতে হবে গান্ধিজির অহিংসার মন্ত্র, যা মানবতার কাছে তাঁর অবদান। কোনো কাজ উচিত, না অনুচিত, তা নির্ণয়ের জন্য গান্ধিজির মানব-কল্যাণের কষ্টিপাথর আমাদের গণতন্ত্রের ওপরও সমানভাবে প্রযোজ্য। গণতন্ত্রে, সরকার ও বিরোধী পক্ষ, উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। রাজনৈতিক মতামত ব্যক্ত করার পাশাপাশি, দেশের সামগ্রিক বিকাশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, দুই পক্ষেরই একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন।
প্রিয় দেশবাসী,
সাধারণতন্ত্র দিবস হল আমাদের সংবিধানের উৎসব উদযাপন। আজ আমি সংবিধানের প্রধান রূপকার বাবাসাহেব আম্বেদকারের এক বিশেষ উক্তি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। উনি বলেছিলেন—“গণতন্ত্রকে শুধু উপরিস্তরে নয়, বাস্তবে প্রকৃতই যদি আমরা রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের কী করতে হবে? আমার বিচারে, প্রথমেই সুনিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সাংবিধানিক পদ্ধতির সহায়তাই আমরা গ্রহণ করব।“
বাবাসাহেব আম্বেদকারের এই কথা আমাদের চলার পথকে আলোকিত করেছে। আমার বিশ্বাস, তাঁর এই কথা আমাদের দেশকে গৌরবের শিখরে নিয়ে যেতে সবসময় পথ দেখাবে।
প্রিয় দেশবাসী,
গোটা বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে দেখার জন্য আমাদের যে ভাবনা, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’, তা অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে মজবুত করে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক আদর্শ ও উন্নয়নের ফল সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।
সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের সময় বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রথা আমাদের আছে। আমি আনন্দিত যে এই বছর, আমাদের সম্মানিত অতিথি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিস্টার হায়র বোলসোনারো আগামীকাল সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান আমাদের দেশ ও আমরা সব ভারতবাসী বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যাতে আমাদের নিজেদের ও সমগ্র মানবতার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
আমি পুনরায় আপনাদের সবাইকে সাধারণ্তন্ত্র দিবসের আন্তরিক অভিনন্দন এবং আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।
জয় হিন্দ্, জয় হিন্দ্, জয় হিন্দ্।
আজাদ নগর আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও রক্তদান শিবির
আজাদ নগর আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও রক্তদান শিবির
দুদিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ কয়েকশো মানুষ । রক্তদান করলেন একশজন যার মধ্যে ৬০জন মহিলা । বসে আঁকো প্রতিযোগিতা...
গভর্নর শ্রী জগদীপ ধানখর “নেতাজির সাহসিকতার স্মরণ” শীর্ষক সেমিনার উদ্বোধন করেন
ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন আয়োজিত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় গভর্নর শ্রী জগদীপ ধানখর "নেতাজির সাহসিকতার স্মরণ" শীর্ষক সেমিনার উদ্বোধন করেন|
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় প্রথম মহিলা শ্রীমতী সুদেশ ধানখর উপস্থিত ছিলেন|
মিডিয়াকে ব্রিফ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন মনিত সিংহ।
সমাজ সেবার পথিকৃৎ লক্ষী কাশী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের
সমাজ সেবার পথিকৃৎ লক্ষী কাশী চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের
হাওড়ার জনপ্রিয় সমাজসেবক দম্পতি শ্রী কাশীনাথ দাস ও তার সহধর্মিণী শ্রীমতী লক্ষী দাস সকলের পরিচিত তাদের সমাজসেবা মূলক কাজের জন্য ।রবিবার হাওড়ার কদমতলায় তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় পাঁচশো...
অটো এক্সপো – মোটর শো ২০২০ – ‘ভবিষ্যতের গতিশীলতার দুনিয়া অন্বেষণ করুন’
অটো এক্সপো - মোটর শো ২০২০ - ‘ভবিষ্যতের গতিশীলতার দুনিয়া অন্বেষণ করুন’
দ্বি-বার্ষিক অটো শোটি পরিষ্কার এবং সবুজ চলাফেরার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইন্ডাস্ট্রির দর্শনের সাথে সুসংগত করে |
কলকাতা, ২০ জানুয়ারী, ২০২০: অটো এক্সপো - মোটর...
বাংলা ভাষায় বৃহত্তম সাহিত্য পার্বণ সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলায় কবিতা পাঠ করলেন...
বাংলা ভাষায় বৃহত্তম সাহিত্য পার্বণ সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলায় কবিতা পাঠ করলেন কবি ফারুক আহমেদ
কলকাতা প্রতিনিধি :: বাংলা ভাষায় বৃহত্তম সাহিত্য পার্বণ সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিন মেলায় ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবীন্দ্র-ওকাকুরা...
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তরুন তীর্থ আয়োজন করেছেন রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা...
তরুন তীর্থ, উত্তর কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজন করে এক সামাজিক অনুষ্ঠানের।সকালে রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির।সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাথে শিশুদের বিদ্যার সরঞ্জাম ও দুঃস্থদের কম্বল বিতরণ...
জনসেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হল মারোয়াড়ি যুবা মঞ্চের বাংলা-সিকিম প্রান্তিয় অধিবেশন ধরোহর পর্ব
জনসেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হল মারোয়াড়ি যুবা মঞ্চের বাংলা-সিকিম প্রান্তিয় অধিবেশন ধরোহর পর্ব
কথায় বলে, জীবে প্রেম করে যেই জন / সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। আর এই ভাবনায় প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে উৎসর্গ করে চলেছেন ...
Four-day Behala Classical Festival set to begin from 9th January 2020
Four-day Behala Classical Festival set to begin from January 9
Kolkata, 9th January 2020: The most awaited musical extravaganza "Behala Classical Festival" organised by Behala Sanskrtitk Sammilani and presented by Shyam Sundar Co. Jewellers is back with its eighth edition. The season eighth...
দুর্গা পুজোর টাকা বাঁচিয়ে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা কৃতি প্রতিভাদের স্কলারশিপ প্রদান
দুর্গা পুজোর টাকা বাঁচিয়ে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা কৃতি প্রতিভাদের স্কলারশিপ প্রদান
উত্তর কলকাতার সুকীয়া স্ট্রিটের ১১১ বছরের বারোয়ারি দুর্গা পূজা কমিটি বৃন্দাবন মাতৃ মন্দির আগামী ১৯শে জানুয়ারী ,রবিবার বিকেল ৫:৩০ মিনিট থেকে...
কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে সম্মাননা সহ উপাচার্য গৌতম পালকে
কোন-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে সম্মাননা সহ উপাচার্য গৌতম পালকে
ফারুক আহমেদ
দি কল্যাণী ইউনিভার্সিটি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড স্থাপিত ১৯৭০ সালে, সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ পালিত হয় শুক্রবার।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল প্রদীপ...
ভারতীয় তরুণদের চোখের স্বাস্থ্য ভাল করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিল জনসন অ্যান্ড জনসনস—এর অ্যাকিউভিউ...
ভারতীয় তরুণদের চোখের স্বাস্থ্য ভাল করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিল জনসন অ্যান্ড জনসনস—এর অ্যাকিউভিউ ওএসিস ওয়ান ডে কনট্যাক্ট লেন্সেস
জনসন অ্যান্ড জনসন প্রাইভেট লিমিটেডের একটি শাখা হল জনসন অ্যান্ড জনসনস ভিশন। কলকাতায় চালু হল তাদের...