সংবাদাতা, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮: আজ বিধানসভাতে মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে বিল পাশ করল বাংলার সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানিয়েছন ফারুক আহমেদ।
দীর্ঘদিন পর মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজ বিধানসভাতে বিল পাশ করল রাজ্যসরকার। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম কান্ডারী ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদের।
দক্ষিন দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং-এ আরো চারটে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে বিধানসভায় আজ এই বিল পাশ হয়ে গেল। জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মার্চ মাসে বাজেট বক্তব্যে তিনি জানিয়েছিলেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণার গূণগত মান ও উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ স্থাপনে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় এক দশকের দাবীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পিছিয়ে থাকা মানুষদের যোগ্য করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়– মহাত্মা গান্ধীও এই ধারণা পোষন করতেন। অনগ্রসর, অবহেলিত, প্রান্তিক, সংখ্যালঘু মানুষদের অগ্রগতিতে এই কারণেই নিতে হয় কিছু প্রকল্প, পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ। এবং তা রূপ দিতে হয় বাস্তবে। এই চারটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করতে বিধানসভায় বিল পাশ করে উন্নয়নের বাতাবরণে এক নতুন মাত্রা যোগ করল রাজ্যসরকার।
মুর্শিদাবাদ জেলা রাজ্যের সর্বাধিক মুসলিম প্রধান এলাকা। শিক্ষায় বহু বছর ধরে এই অঞ্চল অবহেলিত ছিল। নতুন সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর উচ্চশিক্ষা প্রসারে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচী নিয়েছে এ পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা থাকলেও শিক্ষার প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না। কিছু কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থাকলেও কোন স্বয়ং সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় মুর্শিদাবাদে তৈরী হয়নি। সংখ্যালঘু উন্নয়নে সারা দেশ জুড়ে নানা রকম বাধার জন্যে তাঁদের উন্নয়ন থমকে ছিল। মৌলবাদী নানা সংগঠন অনগ্রসর উন্নয়নে নানা বাধা দিলেও আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছেন। তিনি বরাবর অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে চলেছেন। দেশ জুড়ে বিরোধী জোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইছে। এটা বাঙালিদের গর্বিত করছে।
নভেম্বর ২৬, ২০১৫ শহীদ মিনার কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি বিশাল জনসভার। আয়োজন করেছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ণকামী নেতা সিদ্দীকুল্লা চৌধুরী। ওই দিন আমন্ত্রিত প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিত ছিলেন ফারুক আহমেদ। গ্রন্থ-প্রকাশক, সমাজসেবক, সহ অধিকর্তা, দূরশিক্ষা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তথা রিসার্চ জার্নাল ‘উদার আকাশ’-এর সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর মৌখিক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুর্শিদাবাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জোরালো ও আন্তরিক দাবী জানিয়েছিলেন। ওইদিন তাঁর সম্পাদিত ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা “উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” সংখ্যাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতে তুলেও দিয়েছিলেন। সমসাময়িক বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে তার উল্লেখ আছে।
এছাড়াও ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ড. মধু মিত্র, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ এবং ফারুক আহমেদ তাঁদের স্বাক্ষর সমন্বিত দাবী পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিকট মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে।
কন্যাশ্রীর সাফল্য, পাশাপাশি অনুমোদিত ১৩ টি স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ৯৯ টি কলেজে ন্যাক মূল্যায়ন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ এর ফলেই বাংলাতে শিক্ষার প্রসার ঘটছে দ্রুত। তার সঙ্গে এই সব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে বিল পাশ করা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। ভবিষ্যত তা মহীরুহের অঙ্কুর।
অনেক শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে ফারুক আহমেদ এই উদ্যোগের যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মান জানিয়েছেন। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন যজ্ঞে নিজেকে সামিল করতে পেরে ধন্য হয়েছেন। ভবিষ্যতেও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নিজে ও নিজের ‘উদার আকাশ’ পত্রিকাকে সামিল করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ আছেন।
মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ, সমীপেষু– মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ : একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আবেদনর কিছু অংশ তুলে দিলাম।
“বর্তমান সরকারের আমলে যে দ্রুতগতিতে প্রায় প্রতিটি জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা এযাবৎ আমাদের ভাবনাতেও ছিল না। ফলত, মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর মনে লালিত দীর্ঘদিনের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বাসনা আজ আর স্বপ্ন মনে হচ্ছে না। তথাকথিত আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে এই জেলার মানুষের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্খা পূরন হবে না। এখানে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী কলেজে পড়তে আসেন-তারা কেবলমাত্র জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার কারণে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অতএব, সেই পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রত্যাশা আকাঙ্খা পুরনের জন্যই এই জেলাতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি।”
আবেদনে আরও লেখা হয়েছিল।
“প্রসঙ্গত আপনাকে জানাই, ইতিমধ্যেই ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে গত ৪ অক্টোবর ২০১৫ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সফলভাবে পথ সভা সংগঠিত করেছিলাম। সেখানে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গত ৯ নভেম্বর ২০১৫ বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাননীয় মান্নান হোসেনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনে সফল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।”
“অতএব পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা ঝেড়ে ফেলে উন্নত মুর্শিদাবাদ ও উন্নত বাংলা গড়ার প্রয়োজনেই এই জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাননীয়া জননেত্রীর নতুন বাংলা-সোনার বাংলা নির্মাণের অক্লান্ত প্রয়াসে আজ বাংলা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাকে বিশ্ব বাংলা গড়ার যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে আপনার অভিভাবকত্বে ও সুযোগ্য নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদ জেলাও তার শরিক হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বপ্নপূরন মাননীয়া জননেত্রীর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে এমনই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এবিষয়ে আপনার সনির্বন্ধ বিবেচনা ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যাশায় রইলাম।”
“বাস্তবিক স্বপ্ন আজ সত্যি করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কুর্নিশ জানাই তিনিই পারলেন করে দেখাতে। এই মহৎ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা সত্যি আজ খুবই আনন্দিত। তিনি বাংলার কল্যাণে যা কাজ করেছেন আমরা বাঙালি হিসেবে আজ বড়ই গর্বিত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে। আমরা চাই সমগ্র দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে বর্তমান সঙ্কট থেকে রক্ষা করুক।” বলছিলেন সাংসকৃতিক আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ফারুক আহমেদ।
বহরমপুর গার্লস কলেজের অধ্যাপক ড. মধু মিত্র বলছিলেন “শিক্ষা–সংস্কৃতির দিক থেকেও মুর্শিদাবাদ ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিল নিজেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার ৪ বছর আগেই ঐতিহ্যবাহী বহরমপুর কলেজের প্রতিষ্ঠা। সেই সময়ের শিক্ষানুরাগী মানুষেরা এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কাশিমবাজারের মহারাজারা উইল করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থাও করে গিয়েছিলেন। কিন্তু আইনগত জটিলতা ও অন্যান্য কারণে তাদের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। বাংলার রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরকরণ ও রাজনৈতিক অন্যান্য কারণে কালক্রমে মুর্শিদাবাদ তার গৌরব হারাতে থাকে। অসীম সম্ভাবনা সত্ত্বেও এই জেলা ক্রমশ ভারতবর্ষের পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা পায়। স্বাধীনতা পরবর্তী কালে শাসকদের অবহেলা আর উপেক্ষা মুর্শিদাবাদকে অমাবস্যার জনপদে পরিণত করে। প্রায় ৮০ লক্ষ জনসংখ্যার জেলা মুর্শিদাবাদ। জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। বৃহৎ শিল্প এখানে প্রায় নেই। কৃষিজমি নির্ভর কর্মসংস্থান এখানে প্রধান। তাছাড়া জীবিকা অর্জনের জন্য কয়েক লক্ষ মানুষ প্রবাসে কর্মরত। বাম জমানায় এখানে উন্নয়নের তৎপরতা চোখে পড়ে নি। ২০১১ সালে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এখানে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি মাল্টি স্পেশাল হাসপাতাল সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। পর্যটনের দিকেও অনেক নতুন নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে। মতিঝিল একসময় অপরাধীদের মুক্তাঞচল ছিল। আজ সেই মতিঝিল পার্ক এ জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল।
ভৌগোলিকভাবে মুর্শিদাবাদ জেলা পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত। উত্তর বঙ্গ এবং দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগ এই জেলার মাধ্যমেই। আর সীমান্ত বাস্তবতা মাথায় রেখে কৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশের সীমান্তের জেলা। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এখানকার সুস্থিতি জরুরী। যেহেতু শিক্ষার হার কম তাই অপরাধ প্রবণতার সম্ভাবনা বেশী। বিভিন্ন সমীক্ষা র রিপোর্ট অনুযায়ী এখানে নারী পাচার, বাল্যবিবাহের হার বেশি। সুতরাং এই জেলাতে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্য এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নানা স্কলারশিপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার আগ্রহ ব্যাপকভাবে সঞ্চারিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলে দেয় এ জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েরা উল্লেখযোগ্যভাবে কলেজ স্তরে সফল হয়েছে। এমনও বলা যায় গ্রামের কলেজগুলিতে ছাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এই কন্যাশ্রীদের জন্য দরকার উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া। সেক্ষেত্রে এই জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
মুর্শিদাবাদ জেলার সম্ভাবনা অনেক। গৌরবময় অতীত আর সম্ভাবনাময় বর্তমানের মেলবন্ধনে যে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে সেখানে আধুনিক যুগের উপযোগী পাঠ্যক্রম এবং ঐতিহ্য আশ্রয়ী বিষয়ের মেলবন্ধন ঘটবে এমন প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
বস্তুত মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তৎপরতা বর্তমান সরকারের আমলেই শুরু হয়েছে। বিগত বাম আমলে এই ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া তো দূরের কথা বাধা দানের ইতিহাস আমরা সকলেই জানি। কলকাতা কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা থেকে সরে এসে বর্তমান সরকার সরকারকে সরাসরি পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা এমনকি ব্লক স্তরে। এই মডেলটি একেবারে অভিনব। সেই কর্ম তৎপরতার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন জেলাতে অনেক গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংকোচনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই ভূমিকা ব্যতিক্রমী।
মুর্শিদাবাদ জেলার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে তার নিরলস প্রয়াসের কথা সকলের কাছে উদাহরণযোগ্য। তিনিই প্রথম সদর্থকভাবে এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। মূলত তার উৎসাহে মুর্শিদাবাদের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে একটি ডিপিআর ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিকট জমা পড়ে। এই ডিপিআর বেসরকারি স্তরে নেওয়া প্রথম প্রচেষ্টা। ডিপিআর টি তৈরীতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন অধ্যাপক ড. মধু মিত্র, অধ্যাপক ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ এবং উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ও তরুণ লেখক ফারুক আহমেদ। এই ডিপিআর টি তে বিস্তারিতভাবে মুর্শিদাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয়ের জমি, ফ্যাকালটি, পাঠ্যক্রম নির্মাণ ও প্রারম্ভিক পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্থান বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিশা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন ও মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস জুড়ে নিয়ে গবেষণা ও পঠনপাঠনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এখানে। মুর্শিদাবাদের সমৃদ্ধ লোকসংস্কৃতি ও পাট-আমকে নিয়ে একটা উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির সম্ভাবনার কথা এই ডিপিআর এ বিশদে আলোচনা করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে মুর্শিদাবাদ স্টাডিজ, ফার্সি স্টাডিজ এবং এখানকার স্থানীয় ইতিহাস ও সমন্বয়ী সংস্কৃতির চর্চা কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে তার সুষ্ঠু দিশা নির্দেশে এই গবেষণামূলক প্রজেক্টটি এই জেলার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে এই জেলার বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকাকে মান্যতা দিয়েও অতএব বলে রাখা ভালো এর আগে কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়োগিক সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেনি। মুর্শিদাবাদ জেলার ওয়েবকুপা অবশ্য তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। মিডিয়া ও রাজনৈতিক স্তরে বিষয়টিকে সর্বপ্রথম সদর্থকভাবে ও সফল পেশাদারি ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক ফারুক আহমেদ। মনে রাখতে হবে তিনি ২৬ নভেম্বর ২০১৫ সালের শহীদ মিনারে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ডাকে বিশাল সমাবেশে এই বিষয়টিকে জোরালোভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ও বক্তা ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুর্শিদাবাদ জেলার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারি ভাবে স্বকৃতি মিলল। সরকারি স্তরে জমি খোঁজার কাজ শেষ হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনিই প্রথম এই জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ও আবেগের মর্যাদা দিলেন। আর, সেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আড়ালে থেকে যারা অক্লান্তভাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরকেও কুর্নিশ জানাই।”
Founder Editor of IBG NEWS (15/Mar/2012- 09/Aug/2018).
Recipient of Udar Akash Rokeya Shakhawat Hossain Award 2018.
National Geographic & Canon Wild Clicks 2011 jury and public poll winner.
Studied Post Graduate Advance Dip in Computer Sc., MBA IT,LIMS (USA & Australia),
GxP(USA & UK),BA (Sociology)
Dip in Journalism (Ireland),
Diploma in Vedic Astrology, Numerology, Palmistry, Vastu Shastra & Feng Sui
25 years in the digital & IT industry with Global MNCs' worked & traveled in USA, UK, Europe, Singapore, Australia, Bangladesh & many other countries.
Education and Training advance management and R&D Technology from India, USA, UK, Australia. Over 30 Certification from Global leaders in R&D and Education.
Computer Science Teacher, IT & LIMS expert with a wide fan following in his community.
General Secretary West Bengal State Committee of All Indian Reporter’s Association