মমতার বাংলায় মমতা নেই – ডাক্তার আর রোগী দুজনেই মানবিক হোন
“চশমখোর ডাক্তার একেবারে শুষে নিলো” , “বিনা চিকিৎসায় আমার পেশেন্ট মারা গেলো” এই দুই শব্দ ব্রহ্মই যথেষ্ট, একদল বিদগ্ধ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষক, যারা হয়তো নন ম্যাট্রিক গ্রাজুয়েট “তাঁদেরকে” উস্কে দিতে আর সামনে যাকে পাবে, তাঁকেই উত্তম মধ্যম দিয়ে দেবেন ।
এক্স-রে মেশিনের এক্সরে করে দেবে নিখুঁত ভাবে , সিটি স্ক্যান মেশিন টুকরো টুকরো হয়ে নানা সিটি তে ছড়িয়ে যাবে, আর যদি রাজনৈতিক লেবেল থাকে তো কথাই নেই ।
জুনিয়র ডাক্তার বাচ্চা ছেলে দুচার ঘা লাগিয়ে দাও বড় বেড়েছে , আমরা কোনোদিন ডাক্তারি পড়িনি তো কি হয়েছে কি করলে ২০৬ পিস্ হাঁড় কে ২০০৬ পিস্ করে দিতে হয় , তা ভালোই জানি আমরা ।
ছিঃ, ছিঃ, ছিঃ , চিকিৎসা ব্যবস্থা মন্দির মসজিদের থেকেও বেশি প্রয়োজন। এই সাধারণ কথা ভুলে সকল পক্ষ ডাক্তার দের উদার হতে বলছে । নিশ্চয় উদার পেশা এবং “ডক্টরস আর নেক্সট টু গড, বাট ,দে আর নট গড” তাঁরাও রক্ত মাংসের মানুষ তাদের মাথা ফাটলেও পট্টি লাগে । তারাও কারো বাবা ভাই ছেলে বা স্বামী এ কথা আমরা ভুলে যাই ।
দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস নিজের আপন জনের চিকিৎসার জন্য ২৪ x ৭ হাসপাতালে ছিলাম । কাছের থেকে দেখেছি সরকারি পরিষেবার উন্নতি । অনেক ভালো হয়েছে আগের থেকে অস্বীকার করার উপায় নেই ।
কিন্তু সমস্যা যা ছিল তাই আছে । কারণ সুযোগ সন্ধানী আর অযোগ্য প্রসাশনিক ব্যবস্থা । জুনিয়র ডাক্তার না থাকলে এক দিনে ভেঙে পড়বে এই স্বাস্থ্য পরিষেবা ।
মমতার বাংলায় যদি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেউ বাঁচিয়ে রাখে তবে তা জুনিয়র ডক্টরস আর কিছু দরদী প্রফেসর ও সাপোর্ট স্টাফ । কিন্তু তাদের ওপর ছড়ি ঘোরায় দলীয় নন ম্যাট্রিক গ্রাজুয়েটরা ।
রুগী কে নিয়ে এক বিল্ডিং থেকে আর এক বিল্ডিং ছুটতে হয় এক্সরে বা ব্লাড টেস্ট করতে । অসহায় পরিবার জানে না কোথায় কোন ডিপার্টমেন্ট । এই হয়রানি তে জমে ক্ষোভ । তারপর যখন রোগী মারা যায় সব ক্ষোভ গিয়ে পরে ডাক্তার ও সাপোর্ট স্টাফের ওপর । কিন্তু প্রকৃত অর্থে তারা দায়ী খুব কম সময় ।
এই অবস্থা চলবে যদি প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট আর আধুনিক ইন্টার ডিপার্টমেন্ট কমিউনিকেশন না থাকে । নিম্ন মানের হাসপাতাল সাপ্লাই ও বাস্তুঘুগু দের লোভের কারণে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সাধের স্বাস্থ্য পরিষেবা সিংহচর্ম পরিহিত গাধা ছাড়া কিছু নয় ।
দয়া করে ডাক্তারদের না ধমকে রোগের কারণ অনুসন্ধান করুন আর সবেতেই চক্রান্ত বা বিজেপি ভূত দেখা বন্ধ করুন । ঔদ্ধত্য বুদ্ধদেব কে ও ছাড়েনি। ৩৪ বছরের সাম্রাজ্য অথচ আজ একটাও সিট পায়না লোকসভাতে । ৩৪ থেকে ২২ হয়েছে আরও নামার আগেই সতর্ক হন ।
শেষের শুরু কে আরও দ্রুত পতনের দিকে ঠেলে দেবেন না । NRS এ যান এতে আপনি সম্মাণিতই হবেন অহেতুক ইগো ফাইট করবেন না ।
সারা দেশের ডাক্তার যেখানে NRS ডক্টরদের সাথে সেখানে কিসের ঔদ্ধ্যত আপনাকে নবান্নে আটকে রাখে , মানুষের পাশে মানুষের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর সেই মানুষ থেকেই দূরে চলে যাচ্ছেন ।