নদীতে সুতী ফাঁদ বসিয়ে নদীর জল সম্পূর্ণভাবে আটকে চলছে দিনের পর দিন চলছে অবৈধভাবে মাছ শিকার
পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ দক্ষিণপুর জেলার বংশিহারি ব্লকের অন্তর্গত টাঙ্গন খরস্রোতা কে অবৈধভাবে আটকে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের কর্তাদের মদতেই এলাকার কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা নদীর এপার ওপার মাঝ বরাবর “শুতি বসিয়ে” অর্থাৎ মশারির জাল এর সাথে বাশেঁর বেড়া দিয়ে , নদীর প্লাবিত জল কে আটকে দিয়েছে বেশি মুনাফা লাভের আশায়।
যার ফলে নদীর চলমান গতিধারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তো বটেই, সাথে সাথে সমস্ত মাছ একসাথে ধরে নেওয়ার ফলে নদীতে মাছের সংখ্যাও খুব দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে।
এই সব অবৈধ সুতি বসিয়ে টাঙ্গন নদীর স্বাভাবিক চলমান গতিকে আটকে দেওয়ার ফলে, যে জল চাপের সৃষ্টি হচ্ছে, তার ফলে দিনের পর দিন নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলো নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ সব জেনেশুনেও নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসন।
বাসিন্দা দের অভিযোগ অবৈধ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের গোপন আতাতের ফলেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে নদীর গতিপথ আটকে এই অবৈধ মৎস্য ধরার প্রক্রিয়া।
যেকোনো নদী সরকারি সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও কি করে নদীর জল সম্পূর্ণ ভাবে আটকে কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন এই রকম অবৈধ ব্যবসা গড়ে তুলেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার পরিবেশ প্রেমী মানুষজন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় ভিডিও সুদেষ্ণা পালকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম এর সামনে মুখ খুলতে চাননি। তিনি জানান ” ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে ,প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো”