বালুরঘাট শিশু উদ্যানে ছুটলো টয়ট্রেন
নীলাদ্রি শেখর মুখার্জী,দক্ষিন দিনাজপুর
বালুরঘাট শিশু উদ্যানে এবারে ছুটলো টয়ট্রেন। দার্জিলিঙের টয় ট্রেনের আদলে বানানো হয়েছে এটি। কয়েক বছর আগে এই ট্রয়ট্রেন তৈরী করা হলেও করোনা অতিমারীর জেরে পার্ক বন্ধ ছিল ! ফলে তা’ চালু করা সম্ভব হয়নি।অবশেষে সব কিছু স্বাভাবিক হতেই কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে!আজ ৮ এপ্রিল ট্রেনের উদ্বোধন করে পর্যটকদের জন্য চালু করে দেওয়া হলো।বালুরঘাট শহরে ঢোকার পরেই অবস্থিত বন বিভাগের শিশুউদ্যানে দূর দূরান্তে থেকে প্রচুর পর্যটক ভীড় করেন। পর্যটক দের আনন্দ দিতেই এই টয় ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।জানা গেছে, মোট তিনটি বগি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ টি আসন রয়েছে। টয় ট্রেনে চেপে পার্ক ভ্রমন করতে পর্যটকদের মাথা পিছু ২৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। পার্কের ধার বেয়ে বানানো হয়েছে রাস্তা। বেলা ৩:৩০, ৪:৩০ এবং ৫:৩০ মোট ৩ বার প্রত্যহ চালানো হবে। কোন কারনে যদি পর্যটক বেশি হন, তবে ট্রেনের সময় বাড়ানো হতে পারে ।দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে চালানোও হয়েছে ।
নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে টয়ট্রেনে CCTVর ব্যবস্থা আছে ।
বালুরঘাটে সাহেব কাছারি পার্কে ,গঙ্গারামপুরের পার্কে টয় ট্রেন থাকলেও ,দার্জিলিং টয় ট্রেনের আদলে হুবহু এই প্রথম জেলায় বালুরঘাট শিশু উদ্যানে চালু হতে চলছে এই ট্রেনটি। এ সম্পর্কে বালুরঘাট শহরের বিশিষ্টজন তুহিন শুভ্র মন্ডল বলেন, “সবুজের সমারোহে স্নিগ্ধ সমীরণের হাত ধরে বালুরঘাট শিশু উদ্যানে শুভ উদ্বোধন হলো টয় ট্রেন, ভার্টিক্যাল গার্ডেনের। আসুন উদ্যান ও কানন বিভাগ ( উত্তর ) – এর সম্পদকে আমরা সবাই মিলে ভালো রাখি।”
এদিন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্রী অশোক মিত্র, জেলা শাসক আয়েশা রানি এ,জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে, সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এবং বনদপ্তরের আধিকারিকরা।